Bengali

ভূমি ইনিশিয়েটিভ হল ফাউন্ডেশন ফর এ জাস্ট সোসাইটি (এফ জে এস) এবং উইমেন্স ফান্ড এশিয়া (ডব্লিউ এফ এ) এর মধ্যে একটি অংশীদারিত্ব, যা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ঐতিহাসিকভাবে নিপীড়িত সম্প্রদায়ের তরুণদের, বিশেষ করে আদিবাসী, দলিত, জাত-নিপীড়িত, সমকামী, ট্রান্স এবং প্রতিবন্ধী তরুণদের মধ্যে নেতৃত্ব এবং সাংগঠনিক দক্ষতা বিকাশ এবং শক্তিশালী করার জরুরি প্রয়োজনীয়তা মোকাবেলা করার লক্ষ্যে কাজ করে।

ভূমি উদ্যোগটি নিশ্চিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যে যুব নেতাদের দলিত এবং নিপীড়িত- জাতের অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি, নারীবাদী, সমকামী এবং ট্রান্স সংগঠনের ছেদ জুড়ে সংযোগ গভীর করার জন্য একটি ভাগ করা স্থান রয়েছে এবং ফলপ্রসূ ভবিষ্যতের সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করা। এটি যৌন অভিমুখিতা, ধর্ম, জাতিগততা, আদিবাসীতা এবং অক্ষমতা, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে প্রান্তিককরণের অন্যান্য অক্ষ জুড়ে অনেক বর্ণনাকে সামনে আনার লক্ষ্য রাখবে।

ফাউন্ডেশন ফর এ জাস্ট সোসাইটি

প্রাচী পাটঙ্কর

ওমেন্স ফান্ড এশিয়া

আমাদের ভূমি নেতাদের সাথে দেখা করুন

সম্পূর্ণ উক্তিটি উন্মোচন করতে এবং এর পিছনের অনুপ্রেরণা আবিষ্কার করতে প্রতিটি ছবির নীচের তীরটিতে ট্যাপ করুন!

আমার দৃষ্টিভঙ্গি হল শ্রেণীবিন্যাস ছাড়া একটি জাতপাতমুক্ত পৃথিবী, যেখানে সকল পটভূমির মানুষ সমানভাবে একত্রিত হয়। এই পৃথিবীতে, ধর্ম এবং কঠোর নিয়ম আর আমাদের বিভক্ত করে না। পরিবর্তে, আমরা সম্প্রদায় উদযাপন করি, একে অপরের সাথে সুসম্পর্কিতভাবে বাস করি এবং সকলের জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সমতা বজায় রাখি।

আমি এমন একটি পৃথিবী কল্পনা করি যেখানে নারীদের স্বপ্ন দেখার বা নির্বাচন করতে অনুমতির প্রয়োজন নেই। এমন একটি জায়গা যেখানে আমরা আমাদের মতামত প্রকাশ করতে পারি, শিক্ষা পেতে পারি এবং কোনো বাধা ছাড়াই সমস্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারি। এই সুন্দর পৃথিবীর দিকে আমি কাজ করছি।

আমি সিস্টেম পরিবর্তন করতে চাই, যতই সংগ্রাম থাকে। সিস্টেম পরিবর্তন করার জন্য, আমাদের সকলকে আমাদের অহং, স্বার্থপরতা এবং নেতিবাচক প্রবণতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে - তাদের প্রতিস্থাপন করতে হবে প্রেম, ত্যাগ এবং সেবা। অন্ধকার রাতের পর যেমন সকাল আসে, তেমনি নারীরা মুক্ত হবে।

আমার স্বপ্ন হলো আমার কাজের মাধ্যমে মানুষের উপকার করতে পারি। আমি যে পৃথিবী গড়ে তুলতে চাই তার দৃষ্টিভঙ্গি হলো বৈষম্য, ঘৃণা এবং দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী। পরিবর্তে, আমাদের পৃথিবী ভালোবাসা, সম্প্রদায় এবং প্রাচুর্যের উপর কেন্দ্রীভূত হতে পারে। যদিও আমি সবকিছু পরিবর্তন করতে সক্ষম নাও হতে পারি, তবুও আমার সম্প্রদায়ের জন্য আমি যে পরিমাণ ভালো কিছু আনতে পারি তা হল ইতিবাচক পরিবর্তন।

আমাদের বসবাসের জন্য ঈশর এই সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। সকলের সহযোগিতা, সচেতনতা এবং সম্মিলিত আন্দোলনই পারে সমাজের বৈষম্য কমিয়ে আনতে।

শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান এর মাধ্যমে অর্থ আয়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত হলে বৈষম্য কমবে। নারীরা আয় করলে নিজেদের মতামত পরিবারে গ্রহণযোগ্য হবে। ধীরেধীরে সমাজেও তাদের মতামত গৃহীত হবে।

ছোটবেলায় আমি তারার দিগে তাকিয়ে মুক্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম, তারার মতো জ্বলজ্বল করা। একটি আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে আসা, আমি বিস্মিত হয়েছিলাম যে মুক্ত হতে কেমন লাগবে। আজ আমি এমন একটি পৃথিবী তৈরি করার জন্য কাজ করছি যেখানে জাত এবং লিঙ্গ কোন ব্যাপার নয়। এমন একটি পৃথিবী যেখানে মহিলাদের স্বপ্ন দেখার অনুমতির প্রয়োজন নেই, এমন একটি পৃথিবী যেখানে আমরা আমাদের মতামত প্রকাশ করতে পারি এবং বাধা ছাড়াই অংশগ্রহণ করতে পারি। আমি এমন একটি পৃথিবী কল্পনা করি যেখানে সবাই স্বাধীন, যেখানে সবাই একসাথে উঠতে পারে।

আমি এমন একটি ভবিষ্যৎ লক্ষ্যে কাজ করছি যেখানে জাত ও পুরুষতন্ত্র নির্মূল করা হবে। এখন সময় এসেছে একটি লিঙ্গ-ভিত্তিক ন্যায্য ও সুষ্ঠু সমাজ প্রতিষ্ঠার। শিক্ষার সর্বজনীন প্রবেশাধিকার আমাদের বর্ণ ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে এবং পুরুষতন্ত্রের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে সাহায্য করবে। নারীরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। আমি বর্ণ বৈষম্যহীন একটি ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি যেখানে মানুষ তাদের ক্ষমতা এবং প্রতিভার উপর ভিত্তি করে কাজ করবে। মানুষ স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা কাকে বিয়ে করতে চায় এবং মুক্ত চিন্তাভাবনা বিকশিত হবে।

আমি এমন একটি পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি যেখানে জাতবিভেদ বা পুরুষতন্ত্র থাকবে না, যখন আমরা ‘আত্মমর্যাদা’ এবং ‘সম্মান’-এর মতো ধারণাগুলিকে আরও ন্যায়সঙ্গত উপায়ে বুঝতে পারব, এবং যেখানে নারী এবং সমস্ত মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা হয় এবং সম্মান করা হয়।

জাতিভেদ ও লিঙ্গ বৈষম্য থেকে মুক্তি এবং বাল্যবিবাহের মতো নিপীড়নমূলক প্রথা ও ঐতিহ্য থেকে

মুক্তি - এই মুক্তির আকাঙ্ক্ষা এবং সাধনা জন্য আমি বেঁচে আছি এবং বেঁচে থাকছি। শুধু আমার জন্য

নয়, আমার সমগ্র সম্প্রদায়ের জন্য। আমি আলাদা জীবন যাপন করতে পারি না।

আমি জাতপাত নিপীড়ন এবং পুরুষতান্ত্রিক নির্যাতন ছাড়া ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি। প্রকৃতি - ভূমি, জল, বায়ু এবং আকাশ - জাতপাত বা লিঙ্গের ভিত্তিতে পার্থক্য করে না, এবং আমাদেরও তা করা উচিত নয়। আমি এমন একটি ভবিষ্যতের কল্পনা করি যেখানে সবাই স্বাধীন।

আমার আশা, নারী ও মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে কথা বলার মাধ্যমে আমি পিতৃতন্ত্রের শিকড় ভেঙে ফেলতে সাহায্য করতে পারব। পিতৃতন্ত্র, যদিও আমাদের সমাজে গভীরভাবে প্রোথিত, জাতি, ধর্ম, বর্ণ বা লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলে একে অপরকে সমানভাবে সমর্থন করলে তা নির্মূল করা সম্ভব।

ভূমি ইয়ুথ লিডারশীপ ইনিটিয়াটিভের মাধ্যমে, আমরা দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহাসিকভাবে নিপীড়িত সম্প্রদায়ের, বিশেষ করে আদিবাসী, দলিত, জাত-নিপীড়িত, সমকামী এবং প্রতিবন্ধী তরুণদের নেতৃত্বে বিনিয়োগ করি এবং তাদের দূরদর্শী কাজের প্রভাব আঞ্চলিক এবং বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করি।

Page updated

Report abuse